টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
আন্দোলনকারীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালাউদ্দিন

আন্দোলনকারীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালাউদ্দিন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বয়স ৪৮ বছর। তবে এই ফেডারেশনের প্রথম ৩৬ বছরের তুলনায় বেশি আলোচনায় সর্বশেষ ১২ বছর। এই এক যুগের আলোচিত সময়ে যাকে ঘিরে সকল আলোচনা হয়েছে তার নাম কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে মাঠে যতোটা সুনাম কামিয়েছেন, ক্ষমতার আসনে বসে কি ঠিক ততোটা কামাতে পেরেছেন? কিংবা ধরে রাখতে পেরেছেন নিজের সুনাম? টানা চতুর্থবার বাফুফে সভাপতি হতে যিনি ইতোমধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছেন।

প্রতিবারই নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আশ্বাসবাণী নিয়ে হাজির হন কাজী সালাহউদ্দিন। এবারও বললেন, ৪র্থ দফায় নির্বাচিত হলে নিজের অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে চান তিনি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, কাজী সালাহউদ্দিন ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে শুধু অধঃপতনই হয়েছে। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ১৯৭ তম স্থানে নেমেছে তার অধীনেই। এই ১২ বছরেই প্রথমবারের মতো ভূটানের কাছে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ হারিয়েছে তার আগের সৌন্দর্য। ৬ বারের মধ্যে একটিবার পৌছাতে পেরেছে সেমিতে। বাকি ৫ বার বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই।

এছাড়াও বোর্ডের বিরুদ্ধে কতশত অভিযোগ, দুর্নীতির কালিমা, সাবেক ফুটবলারদের অসন্তোষ ইত্যাদি মিলিয়ে সালাহউদ্দিন এখন ফুটবল অঙ্গনের ‘খলনায়ক’!

কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকজুড়ে চলছে ‘বয়কট সালাউদ্দিন’ রব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ফুটবল গ্রুপগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত টাইমলাইনে ‘বয়কট বা আউট সালাউদ্দিন’ নামের হ্যাশট্যাগে সয়লাব হয়েছে। টানা ১২ বছর দেশের ফুটবলের সভাপতি থাকা কাজী সালাউদ্দিনের আমল নিয়ে সন্দিহান দেশের ফুটবল সমর্থকরা। বছরের পর বছর দেশের ফুটবলের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এছাড়াও র‌্যাঙ্কিংয়ের চরম অবনতি, দুর্নীতি, বেহাল ফুটবল নিয়ে আলোচনার থেকে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এই বাফুফে বস। পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেয়াতে দেশের ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত ফুটবল সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জোরালো প্রতিবাদ’ শুরু করেছে। হ্যাশট্যাগে সয়লাব হয়েছে ফেসবুক-টুইটার।

গত সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করে ‌‘প্রজন্ম, ফুটবল যাদের চেতনায় ও অস্তিত্বে’ শীর্ষক সংগঠন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন। এসময় সংগঠনের পক্ষে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও ফুটবল প্রেমিরাও বক্তব্য রাখেন।

যেখানে সাবেক জাতীয় ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন এটাই তার শেষ নির্বাচন। ১২ বছর ধরে দৃশ্যমান কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। গেল নির্বাচনে বলেছিলেন ২০২২ সালে বিশ্বকাপ খেলাবেন। চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন।’

কায়সার হামিদ বলেন, একটা সময় আমাদের দেশ ফুটবলে অনন্য ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে আমাদের দেশ তলানিতে। সাফ ফুটবলেও একই অবস্থা। আর দুর্নীতির কথা কি বলবো, ফুটবলের দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বাফুফের সভাপতিকে তলব করে, এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে।

তবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার না করায় এসবে তেমন পাত্তা দেন না এই কিংবদন্তি। তারপরও তিনি যেহেতু সভাপতির চেয়ার আছেন, তার অধীনস্তরা যখন যা হয় তাই তাকে জানান। নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনা নিয়ে চিন্তিত নন সালাউদ্দিন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে। আমার নিজের ফেসবুক নাই, আমাকে নিয়ে কী হচ্ছে আমি তা জানি না। আমার অফিস থেকে আমাকে বলা হয়। ধরেন এক হাজার ডিজলাইক আসল। কী নামে? কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন আমার নাম কাজী সালাউদ্দিন। এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।

মাথা না ঘামালেও এসব আন্দোলনকারীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালাউদ্দিন। গণমাধ্যমে সালাউদ্দিন বলেন, ‘কারা বলে? যারা ফুটবল খেলাই দেখেনি গত ১০ বছরে। কারা বলে? রাস্তা থেকে ৪-৫ টা ছেলে এসে বলে। আপনি কে, আপনার যোগ্যতা কী? যদি এমন হতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার সাংগঠনিক কোনো বড় অবদান আছে তাও মেনে নিতাম। গণমাধ্যমে এসে গালাগালি করলেন। কিন্তু গণমাধ্যমও তার কথা তুলে ধরছে, যা ভিত্তিহীন। আজকে আমি যদি অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করি। তাহলে দেখতে হবে অর্থনীতিতে আমার জ্ঞান কতটুকু। যারা আমাকে গালি দিচ্ছে, বলছে পদত্যাগ করতে তাদের যোগ্যতা কী? ফুটবলে আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়, কোচ ও সংগঠক হিসেবে কাজ করছি।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital