টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
ভারত অনুতপ্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত অনুতপ্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘পেঁয়াজ রপ্তানি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তবে, ভারত আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুতপ্ত বলে আমাদের জানিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারাও (ভারত) জানতো না, হঠাৎ করে এটা (পেঁয়াজ রফতানি) বন্ধ হয়েছে। আমাদের একটি আন্ডারস্ট্যান্ডিং হচ্ছে যে, এ ধরনের অ্যাবরাপ্ট ডিসিশন নেয়ার আগে আমাদের একটু জানানো। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি এ সম্পর্কে কিছুই জানতো না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাওতো বিষয়টি জানতাম না। আমরা আগেভাগে যদি জানতাম যে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। হঠাৎ করে শুনলে আচমকা অবস্থার মধ্যে পড়ে যাই।’

‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা জানিয়েছি, কেন হঠাৎ করে এমন হলো এবং তখন ওরা আমাদের বলেছে, তারাও নাকি বিষয়টি জানতো না। যার ফলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে’ বলে জানান মন্ত্রী।

এর আগে গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়া ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা বেশ চাপে পড়ে গেছি। ভারতের এ কাজের পেছনে তাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে কিনে আমাদের ব্যবসায়ীরা যেসব পেঁয়াজ স্থলবন্দরগুলোতে এনেছেন, সেগুলোও খালাস করতে দেয়া হচ্ছে না। এটি ডব্লিউটিওর রুলসের লঙ্ঘন কিনা, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।’

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর এই সেপ্টেম্বরেই প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, ৫০-৬০ টাকা কেজি দামের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

পরে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর আগে থেকে ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি না করার ঘোষণা দেয় ভারত। নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণ সম্পর্কে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দাম বেড়ে গেছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারেও ঘাটতি রয়েছে। মৌসুমের কারণে এই ঘাটতি দেখা দিলেও কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই গত কয়েক মাসে বিপুল রপ্তানি হয়েছে।’

ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণার পর স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজিতে শতক ছাড়ায়।

এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ না করতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। আর বন্ধের সিদ্ধান্ত যদি তারা নেয় তাহলে সেটা যেন আগেই জানানো হয় সে ব্যাপারেও অনুরোধ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এমনকি সর্বশেষ স্থলবন্দরগুলোতে খালাসের অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজগুলো দ্রুত ছেড়ে দেয়ারও অনুরোধ করা হয়।

পরে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার স্থলবন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার শর্তসাপেক্ষে অনুমতিও দেয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্থলবন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজের একটি ট্রাকও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital