হেফাজত ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মুহতামিমের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনজনকে।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আছরের নামাজের পর হাটহাজারী মাদ্রাসার সূরা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে হেফাজতের আমীরের পদের বিষয়ে বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
শূরা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হাফি, আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী হাফি, নোমান ফয়েজী হাফি, মাওলানা সালাউদ্দীন নানূপুরী হাফি, মাওলানা সুহাইব সাহেব হাফি, মাওলানা ওমর ফারুক হাফিসহ জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
বৈঠকে মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহহিয়াকে প্যানেল মুহতামিমের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও প্রধান শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মাওলানা হাফেজ শোয়াইবকে সহকারী শিক্ষাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নিযুক্ত ওই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাদ্রাসার সকল কাজের সমস্যা সমাধান করবেন এবং সকলের সমান অধিকার থাকবে। কেউ এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
সূরা কমিটিতে এই করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ম তান্ত্রিক পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাদ্রাসা খুলে দেয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বন্ধের ঘোষণা অতি সত্ত্বে প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়।
মাদ্রাসায় ছাত্র আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের রুম ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে শেখ আহমদ, জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা ওমর, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, মুফতি জসিম উদ্দিনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বৈঠকে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন শূরার বৈঠকে আনাস ও নূরুল ইসলাম জাদীদের বহিষ্কার সহ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাও বহাল রাখা হয়েছে।