ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুলআজিজ ও তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়লের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিপক্ষে বাদশা আব্দুলআজিজ, অন্যদিকে যুবরাজ সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলকে বয়কটের পক্ষে বাদশা এবং তিনি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে আসছেন। এবং এখনো তিনি তার দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।
খবরে আরো বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক চুক্তির ব্যাপারে ঘোষণা দেন তা শুনে ‘স্তব্ধ’ হয়ে যান সৌদি বাদশা আব্দুলআজিজ। সেসময় তিনি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনে ছিলেন।
অন্যদিকে এই চুক্তির ঘোষণা শুনে কোন অবাক হননি যুবরাজ সালমান।
চ্যানেল ১৩’এর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন যুবরাজ সালমান। কিন্তু তিনি তার বাবা আব্দুল আজিজকে এই বিষয়ে জানাননি এই ভয়ে যে তিনি সেই সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা বানচাল করে দিতে পারেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর বাহরাইন ও আরব আমিরাত তৃতীয় ও চতুর্থ উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এর পরবর্তীতে সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে কিনা এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে। এরই মধ্যে সৌদি বাদশা ও তার ছেলের মধ্যে এই ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এলো।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবের প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হলেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। আর জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করতে হবে। বিবিসি