টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
‘অপরাধবিষয়ক নাটক দেখে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছিল রাসেল-হৃদয়’

‘অপরাধবিষয়ক নাটক দেখে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছিল রাসেল-হৃদয়’

রাজধানীর উত্তরখানের রাজবাড়ি এলাকায় কলেজছাত্র সোহাগ হত্যায় গ্রেপ্তার মূল দুই আসামির দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করেছিল। টিভিতে অপরাধবিষয়ক বিভিন্ন নাটক দেখে দুজনই গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার রাতে দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। তারা হলেন ‘কিশোর গ্যাং দি বসের’ প্রধান মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ও হৃদয়। গ্রেপ্তারের পর দুপুরে তাদের হাজির করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, উত্তরা এলাকায় ‘দি বস’ নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল কাটার রাসেল। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল গড়ে তোলে। উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার কারণে স্থানীয়রা তাদেরকে এড়িয়ে চলতো। স্থানীয়দের এড়িয়ে চলাকে তারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করে। ঘটনার দিন রিকশার চাকা থেকে ময়লা পানি শরীরে লাগাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালককে মারধর করছিল। নিহত সোহাগ ওই রিকশার যাত্রী ছিল। ফলে সাধারণ বিষয় নিয়ে রিকশাচালককে মারধর করায় প্রতিবাদ করেন সোহাগ। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল তার গ্রুপের নাদিম, সানি, মেহেদী, সাদ, সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে এসে সোহাগকে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে সোহাগের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। পরে স্থানীরা সোহাগকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর রাসেল ও হৃদয় আত্মগোপনে যাওয়ার পাশাপাশি তার দলের অন্য সদস্যদের আত্মগোপনে যেতে সহায়তা করে। এছাড়া পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে হৃদয় ও রাসেল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, কাটার রাসেল ও হৃদয় অত্যন্ত ধুরন্ধর। তারা বিদেশি অপরাধবিষয়ক টিভি নাটক দেখে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করছিল। এমনকি তারা মোবাইল বা অন্য প্রযুক্তি যন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা বারবার স্থান পরিবর্তন করছিল। ফলে তাদের ধরতে র‍্যাবের গোয়েন্দা সদস্যদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এমনকি আমাদের র‍্যাব সদস্যরা প্রযুক্তির বাইরে মেন্যুয়ালি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় সোহাগ। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল, হৃদয়, সাদ, সাব্বির হোসেন ও সানির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital