গোসল অর্থ হলো পানি দ্বারা শরীর ধোয়া-মোছা করা। শরীয়ত মতে এক বিশেষ পদ্ধতিতে শরীর ধোয়া। জুমা, ঈদ বা ইহরাম এবং মুসলমান হওয়ার পূর্বে গোসল সুন্নত বা নবীর নীতি। অন্যান্য গোসল মোস্তাহাব, করলে পুণ্য আছে না করলে পাপ নেই। জুমার দিনের গোসল সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখিত সাহাবীদের কিছু উক্তি বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো-
১. হযরত সালমান (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন গোসল করে, যতদূর সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উত্তমরূপে তেল ব্যবহার করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে, দু’ব্যক্তির মধ্যে কোনো পৃথক স্থান না হলে নিজ অদৃষ্ট অনুযায়ী যদি নামাজ পড়ে এবং যখন ইমাম কিরাত পাঠ করে তখন নীরব থাকে, তবে এক জুমা হতে অন্য জুমা পর্যন্ত তার যত গুনাহ হয়, তা সবই মাফ করে দেয়া হয়। (বোখারী)
২. হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত- হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার মসজিদে আসে, নির্দিষ্ট করা নামাজ পড়ে, ইমামের খুতবা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকে এবং ইমামের সাথে নামাজ পড়ে, সে জুমা হতে অন্য জুমা পর্যন্ত তার যত গুনাহ হয়, তা সবই ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসলিম)
৩. হযরত আউস (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং গোসল করায়। সকালে জাগে এবং জাগায়। পায়ে হাঁটে এবং আরোহণ করে না এবং বৃথা কথা না বলে ইমামের কাছে আসে। তার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব হয়। (তিরমিজী)
৪.হযরত ওবায়েদ (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) এক জুমায় বলেছেন, হে সমবেত মুসলমানগণ! নিশ্চয় তা এমন দিন যা আল্লাহ ঈদ বানিয়েছেন। গোসল কর। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে তা ব্যবহার করলে তা অনিষ্ট করবে না। তোমরা মেসওয়াক (দাঁতন) করবে। (আবু দাউদ)
৫. হযরত বারায়া (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমানদের জুমার দিন গোসল করা একটা কর্তব্য। তাদের প্রত্যেকের স্ত্রীর সুগন্ধি ব্যবহার করা কর্তব্য। যদি সুগন্ধি না থাকে তবে পানিই তাদের সুগন্ধি। (তিরমিজী)