সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর হোস্টেল বন্ধ রাখাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা রক্ষায় জরুরি নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকসহ সব প্রবেশ পথে প্রহরী নিয়োজিত রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এই নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ সকল কলেজের সরকারি সম্পদ ও সরঞ্জামের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
দীর্ঘদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকা কলেজের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুরক্ষাসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় নির্দেশনায়।
যেসব নির্দেশনা জরুরিভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে: অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং আঞ্চলিক পরিচালককে ক্লাস গ্রহণের তথ্য প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নিয়মিত পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ মনিটরিং এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সংযোগ সাধন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। কলেজ ক্যাম্পাসে বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। কলেজের বিজ্ঞানাগার ল্যাব, আইসিটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ সার্বিক সরকারি সম্পত্তি ও নথি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ রাখতে হবে এবং ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকসহ সকল প্রকার প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক প্রহরী নিয়োজিত রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে পুলিশি টহল জোরদার করতে হবে।