মাদক কাণ্ডে দিন কয়েক আগেই জড়িয়ে গিয়েছে সারা আলি খানের নাম। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরে চলেছে জেরাও। অথচ বাবা সইফ আলি খান নাকি এই সব ‘অযাচিত ঝামেলায়’ এই মুহূর্তে নিজেকে জড়াতে একেবারেই নারাজ— মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে এমনটাই। দিন কয়েক আগেই সপরিবারে দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন সইফ।
স্ত্রী করিনার ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ ছবির শুটিং হবে দিল্লিতেই। সইফও নাকি এ সব ঝামেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে আপাতত দিল্লিকেই ‘নিরাপদ’ বলে মনে করছেন। শোনা যাচ্ছে, করিনার শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত দিল্লিতেই তাঁদের ‘পটৌডি প্যালেসে’ থাকবে খান খানদান। অন্য কয়েকটি সূত্রের দাবি, সারার এই মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় সইফ পরোক্ষে আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন স্ত্রী, সারার মা অমৃতার দিকে। সইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অমৃতাই সারা এবং ইব্রাহিম (অমৃতা-সইফের ছেলে)-কে বড় করেছেন।
অমৃতা যথেষ্ট কড়া অভিবাবক বলেই পরিচিত ইন্ডাস্ট্রিতে। তা সত্ত্বেও সারা-সুশান্তের ব্যাঙ্কক ট্রিপ, ফার্মহাউজে পার্টি, মাদক কাণ্ডে নাম আসায় ঘনিষ্ঠমহলে সইফ নাকি দুষেছেন প্রাক্তন স্ত্রীকেই। অভিনেতার তড়িঘড়ি দিল্লি যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেও উঠছে নানা প্রশ্ন। বাবা-মেয়ের মধ্যে যখন দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে তখন দাদি শর্মিলা ঠাকুর নাকি বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন নাতনির। একদা সেন্সর বোর্ডের চেয়ারপার্সন শর্মিলা নাকি তাঁর সমস্ত যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সারাকে এই ঝামেলার থেকে মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।