মাঠে উপস্থিত খোদ দলের মালিক শাহরুখ খান। এই অবস্থায় মাঠে নেমে রীতিমতো চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাট–বল–ফিল্ডিং তিন বিভাগেই রাজস্থানকে ধরাশায়ী করলেন দীনেশ কার্তিকরা। বিপক্ষকে ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্র দিয়ে ৩৭ রানে জিতল কলকাতা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। গত কয়েকটি ম্যাচে ফর্মে না থাকা নারিনের সামনে শুরুতেই নিয়ে আসেন আর্চারকে। তবে শেষপর্যন্ত আর্চারকে সামলে শুরুটা ভাল করে নারিন–গিল জুটি। যদিও ১৫ রান করে ফিরে যান ক্যারিবিয়ান তারকা। অন্যদিকে, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করেন শুভমন গিল। তিনি করেন ৪৭ রান। রানা (২২), রাসেল (২৪) শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। কিন্তু কেকেআর ম্যানেজমেন্টের চিন্তা অবশ্যই বাড়াবে দীনেশ কার্তিকের অফ ফর্ম। এদিনও মাত্র ১ রান করেই আউট হলেন দীনেশ কার্তিক। তবে গিলের পর কেকেআরের ইনিংসের হাল ধরলেন সেই মর্গ্যান। শেষপর্যন্ত ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছ’উইকেটে ১৭৪ রানে থামে কলকাতার ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে আর্চার দু’উইকেট নেন।
যে দল প্রথম দু’টি ম্যাচেই ২০০ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে, সেখানে ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম মনে হতে পারে। কিন্তু এদিনও নাইট বোলাররা প্রমাণ করলেন কেন তাঁদের টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী বোলিং লাইন আপ বলা হচ্ছে। না, নারিন–কুলদীপ–কামিন্স, নিদেনপক্ষে রাসেলও নন। দু’দলের পার্থক্য গড়ে দিলেন তিন ভারতীয় বোলার। দুই পেসার মাভি–নাগারকোটি এবং স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীই কার্যত ভেঙে দিলেন রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। বাটলার (২১) বাদে ব্যর্থ স্মিথ (৩), স্যামসন (৮), উত্থাপা (২), পরাগ (১)।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৭৪/৬ (গিল ৪৭, আর্চার ২/১৮)
রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৩৭/৯ (কুরান ৫৪*, নাগারকোটি ২/১৩)
কলকাতা ৩৭রানে জয়ী।