ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামিকে খালাস করে দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব রায়। প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সবাইকেই খালাস দেন তিনি।
বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব আসামি খালাসের যে ৫ কারণ উল্লেখ করেন তা হচ্ছে……
১. বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিলো না’।
২. আসামিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাব
৩. কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই যেসব অডিও এবং ভিডিও আদালতে জমা দিয়েছে, সেসবের সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।
৪. বাবরি মসজিদ ভাঙতে যাওয়া সমাজবিরোধীদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন আসামিরা
৫. আসামিরা মসজিদ ভাঙার সময় যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্রপন্থী হিন্দু কর সেবকরা। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগ আনা হয়।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
প্রায় ২৮ বছর আগের ওই ঘটনা চিরকালের মতো বদলে দিয়েছিলো ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক গতিপথ। এ নিয়ে ভারতে রীতিমতো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।