রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এসিড ছুঁড়ে এক গৃহবধূর মুখ ঝলসে দিয়েছেন স্বামী। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাণীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত গৃহবধূর নাম মাহবুবা খাতুন (১৫)। তার বাবার নাম মাবুদ আলী। তিনি একজন ট্রাকচালক। আর মাহবুবার স্বামীর নাম মুরাদ আলী। তিনি ট্রাকের হেলপার। মুরাদের বাবার নাম রাফিকুল। গোদাগাড়ীর কুমরপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। প্রায় দেড় বছর আগে ভালোবেসে মুরাদ ও মাহবুবা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েকমাস ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই চার মাস ধরে মাহবুবা রাণীনগর গ্রামে তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম জানান, ভালোবেসে বিয়ে করলেও পরে মাহবুবা আর মুরাদের সঙ্গে সংসার করতে চাননি। তাই বাবার বাড়িতেই থাকত। শুক্রবার রাতে মাহবুবা তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে শুয়েছিল। ভোরে জানালা দিয়ে মাহবুবার মুখে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মারা হয়। এতে শুধু মাহবুবা আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি জানান, মাহবুবা এবং তার মা জানালার পাশ থেকে মুরাদকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। মুরাদ বর্তমানে পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, আমরা ধারণা করছি, এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। শুধু নিশ্চিত করে বলতে পারি মুখে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, দাহ্য পদার্থে মাহবুবার মুখের বাম অংশ পুরোটা পুড়ে গেছে। এছাড়া গলা ও বাম হাতের কনুই পুড়েছে। তিনি বলেন, পোড়া ক্ষত এসিডের মতোই লাগছে। ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা ছাড়া এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।