মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় স্মরণ মঞ্চের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল স্মরণে নাগরিক শোকসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি। কত দ্রুত একটা আইন করে ফেললো সরকার। কিন্তু এটা শুধু ড্রাইভেশন। এটা পথকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া। আসলে এর প্রতিকার কী? এর প্রতিকার হলো ন্যায়বিচার। আর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভুল করছে। ফাঁসির সিদ্ধান্তটাও অত্যন্ত ভুল। এর চেয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। ন্যায়বিচার কোনো কঠিন কাজ না। দ্রুত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করলে ১৫ দিন বা ৭ দিনের মধ্যেই যারা ধর্ষক তাদের ৮০ শতাংশ ধরা পড়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে বিচার করুন। আর যারা ধরা পড়বে না তাদের জন্য আলাদা মামলা করুন। তাহলে দেখবেন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো কাজও করেছেন। তাহলে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে দেখেন না। আর জনগণের কাছে গিয়ে বলবেন আমি ফাঁসি এনেছি। এই ফাঁসির পক্ষে জনগণ যদি আপনাকে ভোট দেয় তাহলে মনে করবো আমরা ভুল ছিলাম।
সংগঠনের সহ-সভাপতি লায়ন আলামীনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি উলফাত আজিজ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।