নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৫ বছরের এক তরুণীকে নয়মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সিরাজুল চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমানতপুর মহল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একলাশপুর ইউপির ওই তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮-৯ মাস ধরে নোয়াখালী ও ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন সিরাজুল। এছাড়া তাকে বিয়ের প্রলোভনও দেখানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তরুণীকে সিরাজুল বিয়ে করেননি এবং চাকরিও দেননি। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল নানা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন সিরাজুলের ছেলে মাহবুবুর রহমান।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলার পর প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি তার ছেলেকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।