সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটের দিকে শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আদালতে এসে উপস্থিত হন। এদিকে সকাল ৯ টা ২০ মিনিট থেকে একে একে জামিনে থাকা আট শিশু চন্দন সরকার, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক, মারুফ বিল্লাহ্, রাতুল সিকদার ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবন আদালত প্রঙ্গনে উপস্থিত হয়।
এছাড়া কাল ৯ টা ৩৫ এর দিকে বাকি ছয় শিশু রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ্ ওলি, নাঈম ও তানভীরকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বরগুনা জেলা কারগার থেকে আদালতে আনা হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
সর্বশেষ আদালতে উপস্থাপিত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিখণ্ডন শেষে গত ১৪ অক্টোবর বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। ১৪ আসামির মধ্যে বর্তমানে আটজন জামিনে এবং ছয়জন কারাগারে রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আসামির মধ্যে রিশান ফরাজীসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ৩০২ এবং ১২০ (বি) ১ এবং ২১২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এছাড়া চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের মধ্যে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দেন আদালত। এ ঘটনার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।