নারায়ণগঞ্জ থেকে গৃহবধূকে অপহরণ করে ঢাকায় এনে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মাহফুজ রহমান (৩০) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর সোনারগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়। পরে বাদী ওই নারীর স্বামী পিবিআই এর সহায়তা চায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকা থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার ও মাহফুজকে গ্রেপ্তারের পর ৩০ অক্টোবর সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, শারমিন নামের এক নারী ভুক্তভোগী নারীর মায়ের মোবাইলে গত ২২ অক্টোবর ফোন করে। ফোনে সে জানায়, ওই নারীর স্বামী একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে এবং তাদের বিয়ে হবে। তখন তিনি তার স্বামীর মোবাইলে ফোন করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার স্বামীর মোবাইল বন্ধ থাকায় কথিত শারমিনের কথা বিশ্বাস করে দিশেহারা হয়ে যান। তখন শারমিন ভুক্তভোগী নারীকে বলেন, আমি তোমার ভালো চাই এবং তোমার বাসার পাশে সোনারগাঁও মেঘনা ব্রিজের কাছে কালো বোরকা ও হাতে কালো ঘড়ি পড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকব, তুমি ওখানে দ্রুত আসো।
শারমিন নামের ওই নারী ভুক্তোভোগীকে ফোনে আরও বলেন, তোমাকে তোমার স্বামীর প্রেমিকার কাছে নিয়ে যাব। তখন ভুক্তভোগী নারী দিশেহারা হয়ে কাউকে কিছু না বলে মেঘনা ব্রিজে যায়। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কথিত শারমিনের সাথে দেখা হয়। এ সময় ভুক্তোভোগীকে সাদা রঙয়ের মাইক্রোবাসে তোলা হয়। গাড়িতে ওঠা মাত্রই মাহফুজসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে দেখতে পান তিনি।
ওই সময়ে ভুক্তভোগী নারী কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাহফুজ তার মুখ চেপে ধরেন। তারা তাকে নিয়ে ঢাকা যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকেন। পরে মাহফুজ তার নিজ বাড়িতে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী নারী কান্নাকাটি করলে আসামির ভাই জসিম এবং তার স্ত্রী শারমিন জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন।