‘এখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বিএনপিকে রাজপথের রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া যায় না’ বলেও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ হয়’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, তাদের নেতিবাচক ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।’
কাদের বলেন, ‘৭৫ এর খুনি ও খুনের মদদদাতা, গ্রেনেড হামলার খুনের মাস্টারমাইন্ড ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বগলে নিয়ে যারা দেশের রাজনীতিকে বিষাক্ত করেছে তাদের কাছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কথা শুনতে ভালো না লাগাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা শুনলে ‘হাওয়া ভবন তন্ত্রের’ কুশীলবদের গাত্রদাহতো হবেই।
‘সম্প্রতি নারীর প্রতি অবমাননা এবং ধর্ষণের যেসব ঘটনা বেগমগঞ্জসহ এ জেলার মানুষ হিসেবে আমি লজ্জিত’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘দলীয় পরিচয় কোনো অপরাধীর রক্ষাকবচ হতে পারে না। মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং কালচার আমাদের সব উন্নয়নকে ম্লান করে দেয়। বিএনপি আমাদের শক্র নয়। আমরা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির বিরোধীতা করি। তারা হাওয়া ভবনের নামে সর্বত্র লুটপাঠ করায় দেশের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপির মহাসচিব একজন সজ্জন মানুষ। তাকে অন্ধকার থেকে পুতুল নাচানো হয়। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও তাকে সংসদে যেতে দেয়া হয়নি। আসুন হঠকারিতা বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলি। আ’লীগ চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে, তা আমরা বলি না। তবে জনগণের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামসুন নাহারসহ অনেকে।