এবার ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীর এবং লাদাখকে বাদ দিয়েছে সৌদি আরব। নেপাল, পাকিস্তানের পর এ বার সৌদি আরব। ভারতের ম্যাপ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ বাদ দিয়ে দেয়া হলো। ভারত সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে। সৌদি আরবকে দ্রুত ভুল সংশোধনের আবেদনও জানানো হয়েছে।
এ বছর জি-২০ বৈঠকের আয়োজক দেশ সৌদি আরব। সেই উপলক্ষে দেশের মানিটারি অথরিটি একটি ব্যাঙ্ক নোট তৈরি করেছে। যেখানে জি-২০ সদস্য দেশ হিসেবে ভারতের ম্যাপ দেয়া হয়েছে। সেই ম্যাপে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর ওই নোটটি প্রকাশিত হয়েছে। সেটি দেখার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নতুন দিল্লির সৌদি আরব দূতাবাস এবং রিয়াধে আরবের প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত ভুল স্বীকার করে তারা যাতে ভারতের ম্যাপ সংশোধন করে নেয়, তার আবেদন করা হয়েছে।
একই বিবৃতিতে ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কথা সকলকে মনে রাখতে হবে।
মাস কয়েক আগে নেপাল প্রথম মানচিত্র বিতর্কের জন্ম দেয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সংসদে একটি নতুন মানচিত্র পেশ করেন। সেখানে ভারত-নেপাল সংলগ্ন কয়েক অঞ্চল নেপালের অংশ বলে দেখানো হয়। যদিও ভারতের দাবি ওই এলাকাগুলি ভারতের। দীর্ঘদিন ধরেই তা ভারতের মানচিত্রে আছে। বিষয়টি নিয়ে বহু জলঘোলা হয়।
তারই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি বিতর্কিত মানচিত্র পেশ করেন। সেখানে দেখা যায় কাশ্মীর, লাদাখের কিছু অংশ এবং গুজরাতের কিছু অংশ পাকিস্তানের মানচিত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের ওই মানচিত্র নিয়েও ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে আলেোচনা হয়। সম্প্রতি মস্কোয় একটি অধিবেশনে পাকিস্তান ওই একই মানচিত্র দেখালে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।
এবার সেই একই বিতর্কে শুরু হলো সৌদি আরবকে নিয়েও। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, নেপাল বা পাকিস্তানের মতো ইচ্ছাকৃত ভাবে সৌদি এ কাজ নাও করে থাকতে পারে। গত বছর ভারত সফরে এসেছিলেন সৌদি আরবের রাজা। সে সময় প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে পৌঁছে যান।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছিল ওই বৈঠকে। সৌদি আরব যদি বারতের কথা মেনে ম্যাপে বদল করে তো ঠিক আছে, না হলে ম্যাপ বিতর্কে সেই সম্পর্কে ছেদ পড়তে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।