শনিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আব্দুল গফুর মিয়া ঘটনার আগে থেকেই সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি সভাপতির মত এতো গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদে থেকে গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হতে মসজিদে গ্যাস জমা হওয়ার বিষয়টি জানা সত্ত্বেও মুসল্লিদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভাবেননি। মসজিদে বিদ্যুৎ এর অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করেছেন। তিতাস, বিদ্যুৎ ও মসজিদ কমিটির অবহেলা, যথাযথ তদারকি, অসাবধানতা ও মসজিদের যাবতীয় কাজকর্মে যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসরণ না করার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি’।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন দুই জন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
এরই মধ্যে তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজন গ্রেপ্তার হন। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জামিনে বেরিয়ে গেছেন।