থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে ঢুকতে লাগবে না অনুমতি, ডাকতে হবে না স্যার। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবায় জনগণের কাছে নিজেই এগিয়ে এসেছেন তিনি। সরাসরি শুনছেন অভিযোগ। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দিচ্ছেন আইনি সহায়তা।
ওসির সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি সব শ্রেণি-পেশার স্থানীয় জনগণ। তারা মনে করেন, এভাবে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারলে তা সবার জন্যই কল্যাণকর হবে।
গ্রামের মানুষ সরাসরি পুলিশ কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলছেন, এমনটি সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু এ ব্যতিক্রম বিরামপুর থানায়।
বিরামপুর উপজেলা মাদক প্রতিরোধ ও জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধু বিরামপুর থানাই নয়, দেশের প্রতিটি থানা হোক জনগণের আস্থার স্থল। পুলিশ সত্যিই পরিচিত হোক জনগণের বন্ধু হিসেবে।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পুলিশের শ্লোগান হচ্ছে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয় চাচ্ছেন পুলিশ আরও জনবান্ধব হোক। আমি খেয়াল করেছি মানুষ ওসির রুমে ঢুকতে ইতস্থবোধ করেন, ভয় পায়। অনেক সময় অনুমতির জন্য ঘোরাফেরা করেন। এতে জনগণের সঙ্গে একটা দূরত্ব থেকে যায়। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। মানুষ আমাকে তাদের একজন ভাববে এটাই আমি চাই। তাই রুমের বাইরে ওই লেখা টানিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিরামপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন তিনি।