রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াল সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ৫০ ওভারে দুই দলই সমান ২৭৮ রান করলে ম্যাচটি টাই হয়। এরপর সুপার ওভারে জয়ের হাসি হাসে জিম্বাবুয়ে।
সুপার ওভারে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৩ রান তুলতে পাকিস্তান। ৩ বল খেলেই বউ কাঙ্ক্ষিত এক জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচ হারলেও ২-১ সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে হারতেই বসেছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন বাবর আজম। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারলেন না। তাতে হারের শঙ্কা তৈরি হয় আবার এবং শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে নাটকীয় এক টাই।
লক্ষ্য ছিল ২৭৯ রানের। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ১৩ রান। ৯ উইকেটে তখন ২৬৬ রান পাকিস্তানের। একটি উইকেট পড়লেই হার। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে শেষ দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মুসা আর মোহাম্মদ হাসনাইন দলকে বাঁচালেন।
শেষ ওভারে মোহাম্মদ মুসা প্রথম বলে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেছিলেন। শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার পড়ে ৫ রান। এই বলটিও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মান বাঁচান মুসা। ৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৯ রানে। সঙ্গে ৩ বলে ৩ রানে হাসনাইন।
পাকিস্তানের সামনে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই ছুড়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ‘চোখে সর্ষে ফুল’ দেখতে থাকে স্বাগতিকরা। ইমাম উল হক (৪), ফাখর জামান (২), হায়দার আলি (১৩) কেউই সুবিধা করতে পারেননি।
শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যায় যখন মোহাম্মদ রিজওয়ান (১০) আর ইফতিখার আহমেদ (১৮)-দুজনই সেট হয়ে তিরিপানোর বলে বোল্ড হন। ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সেখান থেকে অভিষিক্ত খুশদিল শাহকে নিয়ে লড়তে থাকেন বাবর আজম। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩ ওভারের মতো কাটিয়ে ৬৫ রান যোগ করেন তারা। ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৩ করে খুশদিল ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান বলতে তখন বাবর ছাড়া কেউই নেই। পাকিস্তানের জয়ের জন্য তখনও ১২৮ রান দরকার। হারটা বলতে গেলে তখন মাথার ওপর চলে এসেছে স্বাগতিকদের। কিন্তু বাবর হাল ছাড়লেন না। আট নম্বরে নামা ওয়াহাব রিয়াজও বিপদের মুখে পুরোদুস্তোর ব্যাটসম্যান হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
এই জুটি অবিশ্বাস্যভাবে দলকে এনে দিল আরও ১০০ রান, সেটাও আবার ছয়ের ওপর রানরেটে। ৪৭তম ওভারে এসে ওয়াহাব (৫৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫২) যখন আউট হয়েছেন, ১৯ বলে ২৪ রান দরকার পাকিস্তানের। জয় তখন অনেকটাই হাতের নাগালে।
তবে হাতে উইকেট মাত্র ৩টি, বলের চেয়ে রানও বেশি। বাবর আজম চাপটা নিতে পারলেন না। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হলেন ১২৫ বলে ১২৫ রানে। তাতেই পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন আবার মিলিয়ে যায়।