করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেওয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া ও মহামারির সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেওয়ায় দাবি জানিয়ে আসছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- অনতিবিলম্বে সেশনজট দূর করতে অনলাইন ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দেওয়া। পরীক্ষা ও ক্লাস বিষয়ক সব আদেশের ক্ষেত্রে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করা।
আন্দোলনকারী আরমান বলেন, তাদের দাবিগুলো যে ‘যৌক্তিক’, তা কর্তৃপক্ষও মানছে; কিন্তু সমাধান করছে না। আমরা গত কিছুদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না। আগের কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আজ ডিন স্যারের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন) কাছে গিয়েছিলাম। আজ আমাদের দাবি পূরণের একটা লিখিত নোটিস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উনি বলছেন, আজ না, কাল জানাবেন। এ কারণে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
আরেকজন শিক্ষার্থী নকিব বলেন, দাবিগুলো মেনে নিয়ে লিখিত আকারে নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন শাকিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিগুলো জানিয়ে আসেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। সেদিন পাওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবি পূরণের নোটিসের আশায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা ডিনের কার্যালয়ে যান।
কিন্তু নোটিস না পেয়ে বেলা ১১টার দিকে শ তিনেক মেডিকেল শিক্ষার্থী মিছিল করে শাহবাগের দিকে রওনা হন।
শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক তদন্ত আরিফুর রহমান সরদার বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লিংকরোড দিয়ে যানবাহন চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, কোনো গণ্ডগোল নেই।