নিহত আনিসুল করিম বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের পদে ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরে।
পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনকে আটক করেছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
আনিসুল ৩১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানান। তিনি সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী মিলে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকায়। এরপর মাটিতে ফেলে তাকে চেপে ধরেন তারা। এসময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে তাকে আঘাত করতে দেখা যায়। এরপর একটি নীল কাপড় দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখন তার শরীর নিস্তেজ ছিল।
এরপর একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। কিছুক্ষণ পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করে তার বুকে পাম্প করেন। তখনও তার শরীর নিস্তেজই ছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আনিসুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কী ঘটেছিল, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।