যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ পাওয়া চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা)’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেজা জিয়ার সাথে ঘনিষ্টভাবে তাকে দেখা গেছে।
ওই ছবিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কড়া সমালোচনা করেছেন। কবিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তিনি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রায় ১ বছর পর ঘোষিত হওয়া ২০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবিতা পেয়েছেন সদস্য পদ। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে সোফায় বসেন তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন মৌসুমী। অপর এক ছবিতে দেখা গেছে চেয়ারে বসা খালেদা জিয়ার পাশে মেঝেতে বসে আছেন কবিতা। ছবিগুলো বিএনপি চেয়ারপারসনের তৎকালীন সেনানিবাসের বাসায় তোলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কবিতার বাবা একজন শিক্ষকতা করতেন। তার এক ভাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আরেক ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অন্য এক ভাই থাকেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির গ্রামের বাড়িতে। কবিতার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কবিতার গ্রামে থাকা এই ভাইকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অবশ্য এখন সেখানে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। ফলে তিনি এখন কোনো পদেও নেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ঘনিষ্টভাবে তোলা ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি জাতীয় পর্যায়ে নানা পুরস্কার পেয়েছি। ১৯৮৯-৯০ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছি। তাঁর স্ত্রী বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গেও ছবি আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ছবি আছে। আর যে ছবিটির কথা বলা হচ্ছে সেটি ১৮-১৯ বছর আগে তোলা। এর সঙ্গে আমি বা আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এর কোনো ভিত্তি নেই।