এর আগে জেরুজালেম পোস্টসহ একাধিক ইসরায়েলি মিডিয়া খবর প্রকাশ করে ট্রাম্প ইরানে হামলা চালাতে পারে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ট্রাম্প। সেই বৈঠকে তিনি ইরানে ওই হামলা চালানোর অনুরোধ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।
প্রেসিডেন্টা ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা জানানোর পর উপদেষ্টারা তাকে এ থেকে বিরত রাখেন। তারা তাকে বোঝান যে, এতে বৃহত্তর একটি যুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর জন্য অপশন খুঁজছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন উপদেষ্টারা। এর ফলে ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যান তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করে নেননি। তা সত্ত্বেও আইন বলে আগামী ২০ শে জানুয়ারি নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু তিনি কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন। এমন অবস্থায় তিনি ইরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা। এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেলে ট্রাম্প যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট হয়ে থাকতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের এমন সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, চার বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে প্রথম থেকেই ইরানের প্রতি আগ্রাসী ভূমিকা পালন করে এসেছেন ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে করা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। দেশটির ওপর কয়েক দফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।