জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের তাসরিফ-১ লঞ্চটি ষাটনলের দশআনি নামক স্থানে মেসার্স ফারহান নেভিগেশন লিমিটেডের এমভি ফারহান-৪ লঞ্চটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ ছাড়া ইলিশা ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত করা ও সদর ঘাটের নির্ধারিত টার্মিনালে না ভিরে পল্টুনের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ আনা হয় তাসরিফ-৪ লঞ্চের বিরুদ্ধে।
ওই অভিযোগে লঞ্চ দুটির চলাচলে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ফলে রুটটিতে এ দুটি লঞ্চ চলাচল না করায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা গাদাগাদি করে অন্য লঞ্চগুলোতে যাতায়াত করছেন।
মেসার্স ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় ফেরারী শিপিং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তদন্ত ছাড়াই ফেয়ারী শিপিং লাইসেন্সের লঞ্চ দুটি চলাচলে সাময়িক স্থাগিতাদেশ দেওয়া হয়।’
এসব রুটে চলাচলকারী জাকির হোসেন বাবুল, কাজী কামাল, মো. জামালসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, লঞ্চ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভিড় ঠেলে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
দৌলতখান ঘাটের ইজারাদার শফিউল্যাহ বলেন, ‘ওই রুটটি দিয়ে এলাকার ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী যাতায়াত করে প্রতিদিন। এখন তারা বিকল্প পথে যাবে। ফলে লোকসান বাড়বে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মো. মিজান বলেন, ‘সরকারি স্থাপনার ক্ষতিসাধন ও ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের কারণে ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের তাসরিফ-১ ও ৪ লঞ্চের চলাচলে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।