এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে এএসআই অমিত কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে তার ভাই অনুপ মণ্ডলকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে তার ভাই অনুপ মণ্ডল তার স্ত্রী তনুশ্রী মণ্ডলের সাথে জোরপূর্বক খারাপ আচরণ করতে গিয়েছিল। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তনুশ্রী মণ্ডলকেও হেফাজতে নিয়েছে। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উজ্জল দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বটিয়াঘাটার ফুলতলা গ্রামের অমিত কুমার মণ্ডল ঢাকার বাড্ডা থানায় কর্মরত রয়েছেন। স্ত্রী তনুশ্রী মণ্ডল ও শিশু পুত্র জশ তার সাথে ঢাকায় থাকেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে তনুশ্রী ও জশ ঢাকা থেকে খুলনার বটিয়াঘাটা ফুলতলা গ্রামে রাসপুজায় বেড়াতে যান। সোমবার সকালে জশের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উজ্জল দত্ত জানান, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এছাড়া ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আছে কিনা এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহত শিশুর কাকা মামলার আসামি অনুপ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হচ্ছে। শিশুটির মা তনুশ্রী মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।