অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া পাশের ত্রিশাল উপজেলার কুষ্টিয়া (সেনবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি আউট বাড়িয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়তার সুবাদে আব্দুল মতিন ভূঁইয়া মাঝে মধ্যে জামাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। গত ৩০ অক্টোবর বেড়াতে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে এ ঘটনা কাউকে বললে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন। মেয়েটি ভয়ে কাউকে কিছু না জানালেও সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রোববার পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেখানে আল্ট্রসনোগ্রাম করলে মেয়েটি এক মাস ১৮ দিনের অন্তঃসত্ত্বা বলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি আপন খালু দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার কথা জানায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা সোমবার গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, সে আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করছে। আমি এর বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলার ভিত্তিতে দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অপরাধ স্বীকার করেছে।