নিহতদের ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা- নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সামিরুন বেগম (২৮), মেয়ে মারিয়া আক্তার (২), আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে অন্তর মিয়া (২২), সাতাইহাল (কাজীপাড়া) গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০)। অন্যদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে ফুলতলী বাজারের কাছে একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় যানবাহনই সড়কের পাশের খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সেখান থেকে ৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসির একটি বাস উপজেলার ফুলতলী বাজারে পৌঁছলে পানিউমদা থেকে মুড়াউড়াগামী একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসের নিচে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ যাত্রী মারা যান। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া।