কথাগুলো বলছিলেন নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের গোয়ালদিঘী তালগাছি গ্রামের তায়েজ উদ্দিন, ফেলু মোল্লা, আজমত, সমজানসহ কয়েকজন কৃষক।
তারা জানান, ভূমিখোররা চার ফসলি এসব জমির মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। এখানে পুকুর হলে এই মাঠের প্রায় দুই হাজার একর জমি স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। অনাবাদি হয়ে পড়বে তাদের জমিগুলো। যাদের জমি বেশি তাদের কয়েকজন ২০ হাজার টাকা বিঘায় জমিগুলো ভূমি খেকোদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। ভূমি খেকোরা ওই সব উর্বর প্রায় ৩০ বিঘা জমির সোনার মতো মাটি কেটে নিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন প্রশাসন।
স্থানীয় কৃষদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে পুকুর খননের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এলাকার প্রায় ২ বিঘা খাস জমিসহ ৩০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর শরীফ চৌহান।
ইউপি চেয়ারম্যান ওমর শরীফ চৌহান বলেন, যেসব জমিতে ফসল হয় না আমরা ১৫ জন কৃষক সেগুলো লিজ নিয়েছি। ওই জমি পুকুর খননের প্রস্তুতি নেয়ার সময় জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) রনি খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সত্যি জমিগুলো তিন থেকে চার ফসলি। এসব জমিতে পুকুর খনন করলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে এবং ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এলাকার ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুকুর খননকারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর শরীফ চৌহানকে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের ৫ (ক) ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা এবং সোহেল নামে অপর একজনকে মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ৫ (ক) ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর ( ভেকু) মেশিনটি জব্দ করা হয়