শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা জানান।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২০ উপলক্ষে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’।
সংবাদ সম্মেলনে বিদেশি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনীরূছ সালেহীনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, ‘চল্লিশটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। আরো ৭১টি টিটিসি প্রস্তাবনা আমরা পাঠিয়েছি। এগুলো পাস হয়ে এলে আমরা আরো ১০০ টিটিসির প্রস্তাবনা পাঠাবো, যেন প্রতিটা উপজেলায় আমরা একটি টিটিসি স্থাপন করতে পারি।’
‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা প্রতি উপজেলা থেকে এক হাজার মানুষকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো’ বলেন তিনি।
ইমরান আহমেদ বলেন, ‘করোনার শুরুতে মার্চ মাসে বলা হয়েছিল বিদেশ থেকে অন্তত ১০ লাখ মানুষ ফেরত আসবে। এতো মানুষ কিন্তু ফেরত আসেনি। আমার জানামতে ৩ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ ফিরে এসেছে। সৌদি ও আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসা কর্মীদের প্রায় শতকরা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে কাজে ফেরত গেছে।’
‘রেমিটেন্সের বিষয়ে পজিটিভ একটা বিষয়ে আমি বলতে পারি। বর্তমানে রেমিটেন্সের যে অবস্থা রয়েছে তাতে আমরা অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছি। গত বছর থেকে এই বছরের নভেম্বরে আমরা তিন বিলিয়ন ডলারে এগিয়ে রয়েছি। তবে বিদেশে শ্রমিক যাওয়া যদি বন্ধ হয়ে যায়, সবাই যদি ফেরত আসে, তাহলে এই গতি থাকবে না। এটা আমরাও অনুভব করি। আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করি তাহলে কোনো সমস্যা হবে না’ যোগ করেন মন্ত্রী।
জর্ডানের শ্রমিক পাঠানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জর্ডানের ক্ল্যাসিক গার্মেন্টস ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আমাদের দেশ থেকে মোট ১২ হাজার কর্মী নেবে। ডিসেম্বরে দুই হাজার এবং জানুয়ারি মাসে ১০ হাজার পোশাক শ্রমিক নেয়া হবে। বিদেশে কর্মী নেয়ার বিষয়ে আরো চাহিদা রয়েছে।’