করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খ্রিস্টধর্মালম্বীরা উদযাপন করবে এ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্টধর্ম মতে, প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে আজকের দিনে জেরুজালেমের দক্ষিণে বেথলেহেম নগরীর এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিলো।
যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে এ দিনকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে উদযাপন করতে শুরু করে খ্রিস্টানরা। ৪৪০ সালে পোপ এদিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সেসময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ক্রিসমাস দিবসে সরকারি ছুটির দিন।
দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এবারের বড়দিনের আয়োজন নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, করোনার কারণে এবার আমরা সীমিত পরিসরে বড়দিন উদযাপন করলেও স্পিরিচ্যুয়ালি আমরা আগের মতোই আছি। এ বড়দিনে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, আমরা যেন করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পাই।
তিনি বলেন, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা করা হবে।
বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরছে।
দেশের সব গির্জাসহ খ্রিস্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। এরই মধ্যে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে ক্রিসমাস ট্রি, গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলপনাসহ বিভিন্ন সাজে সাজানো হয়েছে। সব গির্জার নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও র্যাব।