ইনট্রাটেবলস নামের একটি অনুষ্ঠানের আলাপচারিতায় কাহে বলেছেন, ‘তার মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়েছিল, কিন্তু এলঝেইমারের সমস্যা তেমনটা ছিল না। তাকে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা ঠিক ছিল না। ডিয়েগো শান্তি চেয়েছিলেন, একটা শান্ত পরিবেশ দরকার ছিল। ওই ওষুধের কারণে তিনি তা পাচ্ছিলেন না।’
মাদকাসক্তির কারণে ম্যারাডোনা যখন জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে, যখন মরণাপন্ন এই ফুটবল গ্রেটকে চিকিৎসা দিতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন চিকিৎসকরা, তখন কিউবা তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। তৎকালীন কিউবান প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর আমন্ত্রণে ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পুনর্বাসনে ছিলেন ম্যারাডোনা।
কাহের মনে হয়েছিল, গত ৪ নভেম্বর সাবডুরাল হেমাটোমার অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার উচিত ছিল কিউবায় ফিরে যাওয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকুয়েকেও লা হাভানায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন সাবেক এই ফিজিশিয়ান।
কিউবায় একদিন ম্যারাডোনা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন দাবি কাহের, ‘একদিন ডিয়েগো তার গাড়িতে ছিলেন এবং হঠাৎ করে বাসের সামনে গাড়ি নিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তার বেঁচে যাওয়া ছিল মিরাকল।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বাস দেখতে পাইনি, হঠাৎ করে কোথায় থেকে যেন সামনে এসে গেলো।’ এটা ছিল তার দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসার পরের ঘটনা।