শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি।
প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারে ভুগছিলেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইতে নেওয়া হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানকার হাসপাতালে পরীক্ষার পর ১৫ ডিসেম্বর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়নি।
গত রোববার সন্ধ্যায় অভিনেতাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন ২১ ডিসেম্বর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে রোববার (২০ ডিসেম্বর) দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
দেশে ফেরার পর আবদুল কাদেরের করোনা পরীক্ষা করা হলে পজেটিভ আসে। তখন তাকে করোনা ইউনিটে রাখা হয়। এরপর এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা করোনা ইউনিট থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
আবদুল কাদের নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই জনপ্রিয়। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রে প্রশংসিত হয়েছেন। ‘রং নাম্বার’সহ বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।