একই অভিযোগে ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছবিতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া একজন ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে পুলিশকে হেয় করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নেই। পরিচালকই এর জন্য মূলত দায়ী।
পুলিশ জানায়, মামলার প্রথম এজাহারে তিন নম্বর আসামী হিসেবে অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপরাধের দায়ভার বিশ্লেষণ করে এজাহার থেকে এই অভিনেত্রীর নাম বাদ দেয়া হয়।
এদিকে এজাহারে প্রথম তিন আসামীর তালিকায় স্পর্শিয়ার নাম রয়েছে, এমন খবরের বিপরীতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে আমার অপরাধ কোথায়? গণমাধ্যম থেকে জানছি আমিও আছি আসামীর তালিকায়। আমাকেও পুলিশ খুঁজছে। অথচ আমি সারাদিন নিজ বাসাতেই আছি। কোনো থানা-পুলিশ আমার খোঁজও নেয়নি। আমি এখনো বলছি, থানা, পুলিশ, ডিবি যারাই আমাকে যখন ডাকবেন আমি হাজির হবো। আমাকে খুঁজতে হবে না। আমি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। এবং আমি যদি অপরাধ করে থাকি, তবে তার শাস্তিও মেনে নেব।
অভিনেত্রী বলেন, কোন ক্রাইম তো করিনি যে পালিয়ে থাকতে হবে আমাকে। আমাকে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন এমন খবর যারা প্রচার করছেন তারা কার বরাত দিয়ে এমন খবর প্রচার করছেন আমার জানা নেই। আশা করি এমন খবর প্রচার থেকে বিরত থাকবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি অনন্য মামুন পরিচালিত ‘নবাব এলএলবি’ চলচ্চিত্রটির অর্ধেকাংশ ‘আই থিয়েটার’ নামে একটি অনলাইন অ্যাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি চলচ্চিত্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তি দেওয়া অংশের একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার নারীকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের ওই অংশটুকু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাল হলে সেখানে পুলিশ সম্পর্কে মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মাহিয়া মাহি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম ও শাহীন মৃধা। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেলিব্রেটি প্রডাকশন।