এ নিয়ে ৩১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিদেশ গমনেচ্ছুদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অনুমোদন পেল। এর আগে গত অক্টোবর ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন করে অনুমোদন পাওয়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়ানগস্টিক সেন্টারগুলো হল- ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, হেলথ কেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার লিমিটেড, বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেড, বায়োমেড ডাগায়নস্টিক, ডাইনামিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেক আপ, বিআরবি হাসপাতাল, নোভাস ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, আইচি হাসপাতাল লিমিটেড, বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড রাফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, সিলেটের সীমান্তিক প্যাথলজি ও ডাগাগনস্টিক সেন্টার, চট্টগ্রামের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রাইভেট লিমিটেড এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের জরুহুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল
নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে আটকা পড়েছেন অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশি। তাদের ফেরার ক্ষেত্রে ‘করোনাভাইরাসমুক্ত’ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করে দেয় বিভিন্ন দেশ।
ঢাকার বাইরে আরও ১৩টি জেলা বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেটের সিভিল সার্জন অফিস থেকে বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ সনদ দেওয়া হত।
বিদেশে গমনেচ্ছু যাত্রীদের যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিতে হয়। এ সময় পাসপোর্ট ও টিকেটের অনুলিপি দিতে হয়। দেখাতে হয় মূল পাসপোর্ট ও টিকেট। নমুনা পরীক্ষা করে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
২০ জুলাই থেকে বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরুর পর ৩৫০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছিল। ২৪ অগাস্ট সরকার সেই ফি কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৩৫০০ টাকা করেই নিচ্ছিল, সেটা এখন ৫০০ টাকা কমানো হল।