এর উদ্দেশ্য আগামী দশকের মধ্যে চাঁদে মানুষের টেকসই উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এ জন্য আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। উল্লেখ্য, নোকিয়া হলো ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কনজুমার ইলেকট্রনিক কোম্পানি। নাসা তাদেরকে বেছে নেয়ার ফলে তারা চাঁদে এমন প্রযুক্তি গড়ে তুলবে, যা নাসার লুনার ল্যান্ডারের সঙ্গে একীভূত হবে এবং রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেমন সেখান থেকে এইচডি ভিডিও প্রেরণ করবে।
অ্যাপলোর পৌরাণিত বোনের নাম অনুযায়ী এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস প্রোগ্রাম। এ কর্মসূচিতে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম একজন নারী এবং পরে একজন পুরুষকে পাঠানোর লক্ষ্য ধরা হয়েছে। একটি নতুন লুনার ল্যান্ডার উন্নয়নে অনাপত্তি দেয়া হয়েছে স্পেসএক্স এবং ব্লু অরিজিনকে। ওই নতুন লুনার ল্যান্ডার্স নভোচারীদেরকে কক্ষপথ থেকে চাঁদের পৃষ্ঠে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। ব্লু অরিজিনের মালিক জেফ বেজোস। তাদের এই দুটি বেসরকারি মহাকাশ অভিযাত্রা বিষয়ক কোম্পানি এখন প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে তাদের সিস্টেম নিয়ে কাজ করে যাবে। তাদের পাশাপাশি করজ করবে আরেকটি কোম্পানি- ডাইনেটিকস। কিন্তু এদের মধ্যে একটি কোম্পানিকে বেছে নেবে নাসা। এ ছাড়া একটি ‘লুনার গেটওয়ে’ প্রতিষ্ঠা করতে চায় নাসা। একে আউটপোস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এটি ২০২০-এর দশকের মধ্যভাগে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে।
এমন অবস্থায় নোকিয়া বলেছে, তারা নভোচারীদের প্রয়োজন হবে এমন যেকোনো সংযুক্তিমুলক প্রযুক্তি স্থাপনের চেষ্টা করবে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নভোচারীরা ভয়েস এবং ভিডিও যোগাযোগে সক্ষম হবেন। তবে এক্ষেত্রে রোবোটিক এবং সেন্সর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। নোকিয়ার প্রধান প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা মারকাস ওয়েলডন বলেছেন, আমরা এ যাবতকালের মধ্যে প্রথম চাঁদে সেলুলার যোগযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করছি।