৩৭ বছরের সাবেক আইনজীবী ঝ্যাংকে গত মে মাসে আটক করা হয়। তিনি কয়েক মাস যাবত অনশনে রয়েছেন। ঝ্যংয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ। উহান নিয়ে প্রতিবেদন করায় যেসব চীনা সাংবাদিক সমস্যায় পড়েছেন তিনিও তাদের মধ্যে একজন। চীনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। যেসব সমাজকর্মী ও সতর্ককারীরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারের চীন সরকারের আচরণের সমালোচনা করেছেন তাদেরকে শক্তভাবে দমন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ঝ্যাং সাংহাই আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে হাজির হন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রাদুর্ভাব নিয়ে স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন করতে তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে উহানে গিয়েছিলেন। চীনের বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা দ্য নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স (সিএইচআরডি) জানায়, ঝ্যাংয়ের প্রতিবেদনে অন্যান্য স্বাধীন সাংবাদিকদের আটক সম্পর্কে ও জবাবদিহি চাওয়া পরিবারগুলোকে হয়রানির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছিল। সিএইচআরডি’র তথ্যমতে, গত ১৪ মে ঝ্যাং নিখোঁজ হন। একদিন পর জানা যায়, পুলিশ তাকে সাংহাই থেকে ৪০০ মাইল দূরের একটি জায়গায় আটক করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে চার থেকে পাঁচ বছরের শাস্তি প্রস্তাব করা হয়েছিল। গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঝ্যাং অনশন শুরু করেছিলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।গত ডিসেম্বরে ঝ্যাংকে কারাগারে দেখে আসার পর তার আইনজীবী জানান, তাকে জোর করে টিউবের মাধ্যমে খাবার দেয়া হচ্ছে এবং তিনি মাথাব্যথা, ঝিমুনি ও পাকস্থলির ব্যথায় ভুগছেন।