গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি বলেন, পঞ্চগড় নতুনবস্তি খালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুলারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নূরুন আলা নূর কামিল মাদরাসা ও পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ক্ষমতাশীন দলের লোকজন কেন্দ্র ও বুথ দখল করে সাধারণ মানুষকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তাদের লোকজনই নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভেঙেছে। তবে নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি প্রার্থীর কর্মীদেরকেই দায়ী করছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী।
পঞ্চগড় কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শন থেকে ফেরার পথে কেন্দ্রের সামনেই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীরের গাড়ি ভাঙচুর করেছে কয়েকজন উশৃখল যুবক। সোমবার ১১ টায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সাথে থাকা রবিউল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে একাধিক কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক নারীসহ ১১ জনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন পঞ্চগড় জেলা শহরের কামাতপাড়া এলাকার আবির (১৫), শিশির (২৭), ফরহাদ (২৫), সিদ্দিকুর (৩৫), মুকুল (৩৬), তুলারডাঙ্গা এলাকার রুবেল (৩২), তরিকুল ইসলাম (৫৬), জেসমিন (২৬), একই উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকার সুলতান (৩০), ফুটকিবাড়ি এলাকার হৃদয় (১৮), ফকিরপাড়া এলাকার আবু তালেব (৩৫)। গুরুতর আহত আবির ও শিশিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করে ফেরার পথে কেন্দ্রের সামনেই পেছন দিক থেকে লাঠি হাতে কয়েকজন যুবক দৌড়ে এসে তার গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। তারা গাড়ির পেছনের গ্লাস পুরোটাই ভেঙে ফেলে। তাৎক্ষণিক আইন শৃংখলা বাহিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কারা ভাঙচুরের সাথে জড়িত তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। একই সাথে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাদে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি