‘নবাব এলএলবি’ ছবিতে ধর্ষণের শিকার তরুণী ও ঘটনা নথিবদ্ধ করা পুলিশ সদস্যের কথোপকথন নিয়ে পুলিশের অভিযোগের জের ধরে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছবির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহিন মৃধা।
ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, আপত্তিকর ওই দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য শুভ্রা চরিত্রের অর্চিতা স্পর্শিয়াকে খুঁজছে পুলিশ।
স্পর্শিয়া জানান, ওই দৃশ্যে ব্যবহৃত পুলিশের ভাষা নিয়ে শুরুতে আপত্তি করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরিচালকের কথামতো দৃশ্যটিতে অভিনয় করতে হয়েছে তাকে।
আপত্তিকর ওই সিকোয়েন্স নিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘যখন ওই দৃশ্য ধারণ করা হয়, তখনই আমি পরিচালককে বলেছিলাম ওভাবে না করতে, পুলিশি ঝামেলা হতে পারে। তা–ই হলো। কারণ, সিকোয়েন্সটির উপস্থাপনা ভালো হয়নি।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) ইফতেখারুল ইসলাম জানান, অনন্য মামুন, শাহিন মৃধা ও অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম ছাড়া এজাহারে স্পর্শিয়ার নাম নেই।
শনিবার স্পর্শিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘আমি আগেই জানতাম মামলার এজাহারে আমার নাম নেই। অথচ ফেসবুকে ছড়ানো হল পুলিশ আমাকে খুঁজছে। খবরটি দেখে আমি ভীষণ অবাক হয়েছি। আর আমার সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে সংবাদ প্রকাশ করল, সেটাও আমি বুঝতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘খবর শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে শেষ। যারা এ খবর ছড়িয়েছে তারা খুবই অন্যায় করেছে। এমন অসত্য সংবাদে মা ভেঙে পড়েছে।’
সহশিল্পী শাহিন মৃধাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘ওই সিকোয়েন্সের কারিগর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। অভিনেতারা এ জন্য দায়ী হতে পারেন না। শাহিন মৃধাকে আমি আগে চিনতাম না। ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার পারিশ্রমিকও কম। তিনি এ রকম বিপদে পড়ায় আমার খুব খারাপ লাগছে।’