গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস (আরএসএফ) স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। স্টেইট টাইমস।
রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস বলছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক, দুর্নীতি ও পরিবেশ ক্ষেত্রে কাজ করা সাংবাদিকদেরই বেশি হত্যা করা হয়েছে। আরএসএফ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলছে, এ বছর ৮৪ শতাংশ সাংবাদিককে সরাসরি তাঁদের কাজের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ও হত্যা করা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে ৬৩ শতাংশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। মেক্সিকোতে আটজন, ভারতে চারজন, ফিলিপাইনে তিনজন ও হন্ডুরাসে তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।
মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলের এলাকা ভেরাক্রুজে ‘এল মান্ডো’ পত্রিকার প্রতিবেদক জুলিও ভালদিভিয় রদর গুয়েজের মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া গেছে। পশ্চিমের এলাকা আকাপুলকোতে স্থানীয় সংবাদ ওয়েবসাইটের সম্পাদক পুনতো এক্স পুনতো নোতিসিয়াসের মরদেহের টুকরা টুকরা অংশ পাওয়া গেছে। দেশটিতে মাদক পাচারকারী ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যোগসূত্র রয়ে গেছে। যেসব সংবাদকর্মী এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বর্বর হত্যাকাণ্ডের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
মেক্সিকোতে সাংবাদিক হত্যায় জড়িত কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে আরএসএফ। আরএসএফ আরও বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পাঁচজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে আলোচনা চললেও গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারতে ‘রাষ্ট্রীয় স্বরূপ’ পত্রিকার প্রতিবেদক রাকেশ ‘নির্ভীক’ সিংকে ডিসেম্বর মাসে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পূর্বের তামিলনাড়ু রাজ্যে টিভি সাংবাদিক ইসরাভেল মোজেসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক রুহুল্লাহ জামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে আরএসএফের প্রতিবেদনে।