বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাফিয়াদী গ্রামে বৌভাত অনুষ্ঠানে মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বরের চাচা নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সকালে নিহতের ছেলে সুরুজ মীর বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৯ আসামিকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মামলার আসামিরা সকলেই কনেপক্ষের আত্মীয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিন এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাহিদ-বিন আলম।
ওসি জানান, গত রোববার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামের সজীব মীরের সাথে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকার রুনা বেগমকে বিয়ে করেন। ওইদিন রুনা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়া হয়। গত মঙ্গলবার বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানে কনেপক্ষের ৪৮ জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
খাবারের এক পর্যায়ে মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে কনেপক্ষের অতিথিদের সাথে বরপক্ষের লোকজনের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
দুই পক্ষের হামলা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আঘাত লেগে বরের চাচা আজহার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা কনেপক্ষের ১২ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের মধ্য থেকে ৩ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলের দায়ের করা মামলায় ওই ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে বুধবার দুপুরে বরিশাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজাহার মীরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।