১৭৫৮ সাল। মেঘনার নদী থেকে একটি বজরা নৌকা সশস্ত্র প্রহরীসহ চাঁদপুর ঘাটে এসে ভেড়ে। গন্তব্য ঢাকার জিনজিরা প্রাসাদ। নৌকার আরোহীরা হচ্ছেন শহীদ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার স্ত্রী লুৎফা, মেয়ে উম্মে জোহরা, খালা ঘসেটি বেগম ও মা আমেনা বেগম। স্বল্প বিরতির পর আবার পাল তোলা বজরায় ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু।
এক সময়ের সুবে বাংলার রাজধানী ঢাকা এখন পরিত্যক্ত। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুর্শিদাবাদ জয় করার পর ঢাকার ইংরেজ কুঠি আবার সরব হতে থাকে। বিখ্যাত মসলিন প্রস্তুতকারীদের ঢাকায় তখন উজ্জ্বল সময় চলছিল। নবাব পরিবারের সদস্যদের জিনজিরা প্রাসাদে নির্মম নির্বাসনে কাটছে দিন, তার সঙ্গে বেড়ে উঠছে ইংরেজদের ঢাকা।
এমনই গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘জিন্দাবাহার’। জনপ্রিয় নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদের রচনায় এটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ফজলে আজিম জুয়েল। নাটকটি নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জন্য।
নির্মাতা ফজলে আজিম জুয়েল বলেন, ‘অষ্টাদশ শতাব্দীর ঢাকা নিয়ে এ দেশের টেলিভিশনে তেমন কোন কাজ হয়নি। ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের অজানা। সেসব অজানা গল্পই উঠে আসবে নাটকে। আমরা মূলত এই নাটকে দেখাতে চাই, দিল্লি থেকে কীভাবে ঢাকার শাসনকার্য পরিচালিত হতো। এমন গল্প নিয়ে বাংলাদেশে আগে কখনও নাটক নির্মিত হয়নি। আড়াইশো বছর আগে ঢাকা কেমন ছিল, ধারাবাহিকটির মাধ্যমে দর্শকেরা তা জানতে পারবেন।’
‘জিন্দাবাহার’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, লুৎফর রহমান জর্জ, আজাদ আবুল কালাম, আহমেদ রুবেল, অনন্ত হীরা, শতাব্দী ওয়াদুদ, শাহ আলম দুলাল, সমু চৌধুরী, শামীম ভিস্তি, শ্যামল জাকারিয়া, আলিফ চৌধুরী, সাদমান প্রত্যয়, ইউসুফ রাসেল, শাকিল, রোজী সিদ্দিকী, নাজনীন চুমকি, মুনিরা বেগম মেমী, শর্মীমালা, নাইরুজ সিফাত, নিকিতা নন্দিনীসহ অনেকে।
নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে নাটকটির প্রথম লটের দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই ‘জিন্দাবাহার’ প্রচার হবে বিটিভিতে।