ভোলার বোরহানউদ্দিনে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে নেশা খাইয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। এসময় ভিকটিম তরুণী রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ধর্ষিতা ওই তরুণী ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। এদিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুদকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে স্কুলের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বোরহানউদ্দিন উপজেলার উত্তর চকঢোষ আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) কে বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নেয় তজুমদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী মাসুদ ও তার সহযোগী। তারা বাড়ি পৌছে না দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ওই ছাত্রটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে। বিকাল ৩টায় মুমুর্ষ অবস্থায় মাসুদ তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রক্ত বন্ধ করতে না পারায় রাতে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার তরুণী জানান, দুপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্কুলের সামনে দাড়িয়ে ছিল। এসময় পূর্ব পরিচত মাসুদ তাকে বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ তাকে হাসপাতাল ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিন্তু রক্তক্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। গাইনি বিশেষজ্ঞ দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভিকটিমের বাবা ও মা জানিয়েছেন, মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে তারা খোঁজাখুজি করে। বিকালে থানার ওসি ফোনে তরুণীর বাবাকে জানান তার মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল মেয়ের মুমুর্ষু অবস্থা দেখে হতবাক তার পরিবার। মেয়ের জরুরী চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় ঘটনার খবর নিতে পারে নি বলে জানান বাবা।
এদিকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুদকে পুলিশ আটক করে। আটক মাসুদের বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামে। সে তজুমদ্দিন বাজারে একটি থাইগ্লাসের দোকানের কর্মচারী। তবে লিখিত অভিযোগ না পাওয়া আটকের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন। তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে তথ্য দিবেন।