শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ গইয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবার শিক্ষকের সহকর্মীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হান্নান খানের ছোট ভাই আবদুল হামিদ ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের একটি কক্ষ দখল করে বসবাস করছে। স্কুল থেকে তার ভাইয়ের কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি এতে রাজি হননি। পরে তিনি মিটিং ডেকে সিদ্বান্তের কথা বলেন।
এ নিয়ে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে কথাকাটাকাটির এক পযার্য়ে স্কুলের লাইব্রেরি কক্ষের চেয়ার দিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালান।
তবে স্কুলের সভাপতি আবদুল হান্নান খান উল্টো তার ওপর প্রধান শিক্ষক হামলা করেছে বলে দাবি করেন।
একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবদুল জলিল বলেন, সভাপতির ভাইয়ের জন্য স্কুল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় প্রধান শিক্ষকের ওপর সভাপতি হামলা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সভাপতি আবদুল হান্নান খান বলেন, স্কুলের একটি পুরাতন ভবনে মসজিদের বালু রাখা ছিলো। মসজিদের বালু প্রধান সরাতে বললে মুসুল্লিরা প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। স্কুল লাইব্রেরিতে অবস্থানরত প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক লাইব্রেরির দরজা আটকে চেয়ার দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের হাতে ব্যথা লাগতে পারে।
কলাপাড়া হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কবাল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।