টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
ট্রাম্প চিরতরে নির্বাচনের সুযোগ হারাতে পারে

ট্রাম্প চিরতরে নির্বাচনের সুযোগ হারাতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে ‘সহিংসতায় উসকানি’দেয়ার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করেছে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ।

দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করা হলো। ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে ২৩২-১৯৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হয়। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন করার পর তার ভাগ্যে এখন কী ঘটবে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ প্রশ্ন এসেছে এজন্য যে, ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ আর মাত্র ছয়দিন আছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এই সময়ের মধ্যে কী তাকে সিনেটে অভিশংসন করার মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় করা যাবে? ট্রাম্পের ভাগ্য এখন ঝুলে আছে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের হাতে। প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসনের ভোটাভুটি সম্পন্ন হওয়ার পর তা অনুমোদন দিয়ে সিনেটে পাঠাতে হয়। বিষয়টি সিনেটে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। এই ধারা অনুসরণ করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ শিগগিরি সিনেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাবে। সিনেট অধিবেশন ডাকা হলে ট্রাম্পের বিচার হতে বাধ্য, কোনো বিকল্প নেই।

সিনেটে একবার অভিশংসনের প্রস্তাব পৌঁছালে তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে বাধ্য। ফলে ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পরও তিনি সিনেটে অভিশংসনে মুখে পড়বেন। যদি সিনেটে অভিশংসিত হন তাহলে তিনি আর কখনোর প্রার্থী হতে পারবেন না। ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অভিশংসনের ফলে সিনেটে ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। যদি বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে নিজের কার্যালয় তাকে ত্যাগ করতে হতে পারে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, এর আগে সিনেট অধিবেশন আবার হবে না। তাই ক্ষমতা ছাড়ার আগে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে না ট্রাম্পকে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার দিনে বিক্ষুব্ধ ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে নজিরবিহীন হামলা চালায়। তাতে নিহত হয় পাঁচজন। ওই হামলার ঠিক আগেই ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উগ্রতার প্ররোচনা ছিল বলে সব মহল থেকে সমালোচনা ওঠে। রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাও এর সমালোচনায় মুখর হন।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital