জুমার নামাজ আদায়ে রয়েছে কিছু হুকুম ও শর্ত। যা বাংলাদেশ জার্নালের অনলাইন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
জুমার হুকুম
১. জুমার নামাজ দুই রাকাত। ইহা প্রতিটি মুসলিম, পুরুষ, বালেগ, বিবেকবান, স্বাধীন এবং ঘর-বাড়ি বানিয়ে একটি জনপদে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন ব্যক্তির উপর জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ।
২. জুমার নামাজ নারী, রোগী, শিশু, মুসাফির ও দাস-দাসীর উপর ফরজ নয়। তবে এদের মধ্যে যারা জুমার নামাজে হাজির হবে তার নামাজ যথেষ্ট হয়ে যাবে।
৩. আর মুসাফির যদি কোনো স্থানে অবতরণ করে অবস্থান নেয় (যাত্রা বিরতি করে) আর সেখানে জুমার আজান শুনতে পায়, তবে তার জন্য জুমা আদায় করা জরুরি।
জুমার নামাজ না পড়ার শাস্তি
১. হাদিসে জুমার নামাজ না পড়ার প্রতি রাসূল (সা.) ভীতি প্রদর্শন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমার নামাজ পড়ে না, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেন।
২. রাসূল (সা.)আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রয়োজন ব্যতিরেকে জুমার নামাজ তরক করে তার নাম এমন কিতাবে মোনাফেক হিসেবে লেখা হয়, যার লেখা মুছে ফেলা যায় না এবং তা পরিবর্তিতও হয় না।
জুমা বাস্তবায়নের শর্ত
১. জুমার নামাজ তার সময়ের মধ্যে আদায় করা ওয়াজিব।
২. জনপদের মধ্য হতে কমপক্ষে দুই বা ততোধিক নামাজি উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. নামাজের পূর্বে দুটি খুতবা দিতে হবে।
৪. খুতবায় থাকবে আল্লাহর প্রশংসা, তার জিকির ও শুকরিয়া। আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে নসিহত।
৫. জুমার নামাজ জোহরের নামাজের জন্য যথেষ্ট। তাই জুমার পরে জোহরের নামাজ আদায় করার প্রয়োজন নেই।
৬. জুমার নামাজের হেফাজত করা ফরজ। যে ব্যক্তি অলসতা করে পরস্পর তিনটি জুমা ত্যাগ করে আল্লাহ তালা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (নাউজুবিল্লাহ)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমার নামাজের হুকুম ও শর্ত সমূহ সমাজের লোকদের জানিয়ে তা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আল্লাহ তালা সবাইকে জুমার হুকুম ও শর্ত বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন।