দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ভার্চুয়ালি এক বৈঠক বসেন। এ বৈঠকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ জার্নালকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যে ধরণের সেফটি মেজারমেন্ট প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ জার্নালকে এম এ খায়ের আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে বলেই প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। কিন্তু কবে খুলবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়াও দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
গত বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হয়নি। সংসদ অধিবেশন আইনের সংশোধনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী বিল উত্থাপন করেছেন। বিল পাস হলে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, দেশে গতবছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সেই ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।