ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে মেয়েদের কৌশলে যৌন হয়রানি করাই তার বিকৃত নেশা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে-ভিক্ষাবৃত্তির নামে মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা আরডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় এই বৃদ্ধ এই অনৈতিক কাজটি করছেন। এতে করে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।
অতি সম্প্রতি অভিনব কায়দায় বৃদ্ধের ভিক্ষাবৃত্তির ছলে যৌন হয়রানির কৌশলগুলো সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে এক যুবকের দৃষ্টি গোচর হলে গোপনে প্রায় ৮ মিনিটের একটি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই পোস্ট দিলে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এ সময় ওই বৃদ্ধকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়ে অনেকেই কমেন্ট করতে থাকেন।
দেখা গেছে সাহেববাজার এলাকায় ওই বৃদ্ধ কৌশলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী নারীদের যৌন হয়রানি করছে। না দেখার বাহানা করে হঠাৎই শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছেন।
ভিডিও ক্লিপটি দিয়ে সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে ওই যুবক তার ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটার দিকে রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় এই বৃদ্ধ লোকটিকে আমি লক্ষ্য করি। লোকটি সাহায্যের জন্য মূলত মেয়ে/নারীদের কাছে যায় এবং তাদের শরীরে স্পর্শ করে এমন ভাবে যেনো সে অজ্ঞাতসারে বা ভুল করে করে ফেলেছে। সন্দেহ হাওয়ায় তার পিছু নেই এবং একই জঘন্য কাজ সবার সঙ্গে করছে দেখা যায়। লোকটি বয়স্ক, না বুঝে করেছে ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সজ্ঞানে এবং কুৎসিত লক্ষ্য নিয়েই এই কাজ করছে তা সুস্পষ্ট। তার আসল উদ্দেশ্য জানার জন্যই আমি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে থাকি। কিন্তু কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে ফেলি। এই লোক এবং এরকম আরও যারা আছে তাদের হতে সবাইকে সাবধান হতে হবে এবং তাদের যতো দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাই। তা না হলে রোজই রাস্তায় নারীরা হেনস্তার শিকার হতে থাকবে।’
রবিবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপটির বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, ভিডিও দেখে ওই বৃদ্ধকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ জন্য থানার একটি চৌকস দল কাজ করছে বলেও জানান মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।