করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ। অন্য অনেক খাতের মতো মহামারির প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। আর তাতেই বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্কর আয় বৈষম্যের। ফলে প্রভাব পড়ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাতে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অক্সফাম। সুইজারল্যান্ডের দাভোস সম্মেলনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। ‘দ্য ইনইক্যুয়ালিটি ভাইরাস’ নামে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ‘ত্রুটিযুক্ত ও শোষণমূলক’ অর্থনৈতিক পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে সমাজে বৈষম্য ও অত্যাচার শক্তভাবে গেঁথে বসেছে। এটাকে কাঠামোগত বর্ণবাদ বলেও অভিহিত করেছে তারা। প্রতিষ্ঠনটির দাবি, এগুলোই হচ্ছে অবিচার ও দারিদ্র্যতার মূল কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ের মধ্যে অর্থ্যাৎ লকডাউনের কারণে বাণিজ্যিক ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকলেও পকেটে বিলিয়ন ডলার থাকা মানুষেরা নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যময় চলাচলের জন্য কিনেছেন ব্যক্তিগত বিমান।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০ জন ধনী সম্মিলিতভাবে যে পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন, কেবল সেটা দিয়েই পৃথিবীর যে কাউকে দারিদ্র্যতার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। একইসঙ্গে সেই অর্থ দিয়ে পৃথিবীর সবাইকে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব। করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী ও প্রান্তিক বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ। আর তাই করোনা-উত্তর বিশ্বে আয়ের ওপর ভিত্তি করে কর নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।