চাটমোহরের মূলগ্রাম এলাকার চাঁদের বাজার পাড়ার মূলা চাষী স্বপন জানান, চলতি মৌসুমে ১৫ কাঠা জমিতে মূলা চাষ করেছিলেন তিনি। প্রথম দফা বীজ বপনের পর অতিবৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার মূলা বীজ বপন করেন তিনি। এতে তার প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। চার মন মূলা বিক্রির জন্য তিনি স্থানীয় অমৃতকুন্ডা হাটে নিয়ে যান। ক্রেতা না থাকায় সেখানে মূলা বিক্রি করতে না পেরে পর দিন তিনি পাচুরিয়া হাটে উক্ত চার মন মূলা মাত্র ৯০ টাকায় বিক্রি করেন। অথচ এ মূলা হাটে নিতে তার প্রায় নব্বই টাকা পরিবহন খরচ হয়। পরে তিনি জমি থেকে মূলা তুলে ফেলে দেন। অন্য মূলা চাষীরা জানান, যারা আগাম মূলার আবাদ করেছিল তারা কিছুটা লাভবান হলেও নাবী মূলা চাষীরা দাম না পেয়ে একেবারেই হতাশ হয়ে পরেছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ১৯৫ হেক্টর জমিতে মূলা চাষ হয়েছে। আগাম মূলা চাষীরা লাভ করতে পারলেও উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাহিদা কম থাকায় নাবী মূলা চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।